বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষ-ই দুবার করে জন্মলাভ করে। এক পরম করুণাময় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে আরেকটি বাবা মা কর্তৃক নির্ধারিত স্কুলের সার্টিফিকেটের তারিখে।
আমিও দুবার জন্মলাভ করার সৌভাগ্যবানদের একজন। আমি ১৯৮৪ তে প্রথমবার, আর ১৯৮৫ তে সেকেন্ড টাইম ধরাধামে আবির্ভুত হয়েছিলাম।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কাইপিতে ক্লায়েন্টের ম্যাসেজ চেক করতে গিয়ে দেখি আমার প্রায় সব ক্লায়েন্ট-ই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।আমি অবাক, আজ তো আমার জন্মদিন না। বুঝলাম তারা আমার ২য় বার আবির্ভাবের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ভুল করে ভুল করেছি, সার্টিফিকেটের ডেট অফ বার্থ স্কাইপিতে ইউস করেছি।
সংস্কৃতে “দ্বিজ” বলে একটা শব্দ আছে, যার অর্থ “২য় বা দুইবার জন্ম” (twice born)। ব্যপারটা প্র্যাকটিক্যালি সম্ভব না। এটি মুলত একটি ভিন্ন অর্থজ্ঞাপক শব্দ।যখন কোন ব্যক্তির কোন বিশেষ জ্ঞান লাভ পূর্বক তার আত্মিক বা আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধিত হয় তখন তার নবজন্ম লাভ হয়েছে ধরে নিয়ে তাকে দ্বিজ বলা হয়।
তেমনি একজন উল্লেখযোগ্য দ্বিজ হলেন দ্বিজ বংশীদাস, ষোড়শ শতাব্দীতে কিশোরগঞ্জ জেলার পাতোয়ারীতে জন্ম গ্রহনকারী এই কবি ১৫৫৭ সালে মনসামংগল কাব্য রচনা করেন।ভাবছি আমার ক্লায়েন্টদের বলি “ভাই এটি আমার একচুয়াল আবির্ভাব তিথি না, আমি আরো আগেই আবির্ভুত হয়েছি এই ধরাধামে” …। নাজানি তারা কতই না টাস্কিত হইবে।