আরেকবার রবীঠাকুর চলেছেন ভিয়েনা থেকে বুদাপেস্ট, সাথে আছেন প্রশান্তচন্দ্র ও নির্মলকুমারী। বাইরে প্রচন্ড শীত। ঠাকুর মশায়ের ট্রেন গন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি চলে এসছে। লর্ড মেয়র তাঁকে স্টেশনে অভ্যর্থনা জানাবেন। নির্মলকুমারী (ডাক নাম রানী) শীত থেকে বাঁচতে একটা মোটা চামড়ার লংকোট পরিধান করেছেন যা ঠাকুর মশায়ের ঠিক পছন্দ না। ট্রেন থেকে নামার ঠিক আগ মুহূর্তে কবি সস্নেহে নির্মলকুমারীকে বললেন ( আমি সরাসরি কবির ভাষায় কোট করছি)
“রানী ঐ কোটটা খুলে ফ্যালো। স্টেশনে কত লোক আসবে; তাদের সামনে জলহস্তী সেজে আমি কিছুতেই তোমাকে নাবতে দেবনা”
ঠাকুর মশায়ের আদেশ, অগত্যা কোটটি খুলে, হাতে নিয়ে নির্মলকুমারী ট্রেন থেকে নামলেন।
রবীন্দ্রনাথের স্টারডোম তখন তুঙ্গে, তাঁকে স্বাগত জানাতে স্টেশন লোকে লোকারন্য। সমস্ত শহর যেন স্টেশনে ভেঙ্গে পড়েছে। কবি প্রসন্ন চিত্তে ট্রেন থেকে নামতে নামতে এক ফাকে নির্মলকুমারীকে বললেন “ দ্যাখো তো কী সুন্দর লাল শাড়ী। উনি এটাকে একেবারে ঢেকে দিয়েছিলেন। আমার তো নিজের দেশ সম্বন্ধে একটা গর্ব আছে”
তথ্যসূত্রঃ রেলভ্রমণে রবীন্দ্রনাথঃ অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য
খুঁতখুঁতে রবীন্দ্রনাথ-১
সম্রাট আওরঙ্গজেবের উইল থেকে
স্বর্গ প্রাপ্তি
লৌকিক দেবতা ধর্মঠাকুর