ঘটনাটির সাথে” খুঁতখুঁতে রবীন্দ্রনাথ” শিরোনামটি যায়না, তারপরো দিলাম আগের লেখা গুলোর সাথে মিল রেখে। শেয়ারকৃত ঘটনাটি মূলত রবীন্দ্রনাথের স্বদেশ গর্বের এক ক্ষুদ্র উদাহরণ। ঘটনাটি খুলে বলিঃ
অনেকেই আমরা জানিনা যে রবীন্দ্রনাথ গায়ে গতরে প্রায় ৬ ফুট ২ ইঞ্চির দৈত্য ছিলেন। তাঁর দৈহিক গড়ন, প্রতিভামন্ডিত সৌম্যমূর্তি, ড্রেস আপ (আলখেল্লা টাইপ) সব কিছু তাঁকে একটা দার্শনিক লুক দিয়েছিল। বিদেশ ভ্রমন কালেও তিনি এই লুক/ড্রেস আপ মেইনটেইন করতেন। তো একবার রবীন্দ্রনাথ ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড আসছিলেন। ট্রেনের ইংরেজ যাত্রীগণ স্বদেশী পোশাক পরিহিত শ্মশ্রুমন্ডিত দীর্ঘদেহী রবীন্দ্রনাথের দিকে তাকিয়ে আছেন।
হঠাৎ এক ইংরেজ তাঁর নিকট এসে ভাঙ্গা ভাঙ্গা হিন্দুস্থানী ভাষায় বক্তৃতা আরম্ভ করলো , যার সারমর্ম হল
“আপনার চেহারা দেখিয়া মনে হয়, আপনি পাঞ্জাব হইতে ধর্মপ্রচারে এই দেশে আসিতেছেন। পাঞ্জাবীদের আমরা বিশেষ স্নেহের চক্ষে দেখিয়া থাকি। তাহারা রাজভক্ত এবং ভারতীয় সৌন্যার পুষ্টিসাধনে ইংরাজ-রাজকে তাহারা বিশেষ সাহায্য করিতেছে। ভারতবাসীদের মধ্যে বাঙ্গালীদের আমি নিতান্তি ঘৃণা করি কারণ তাহারা sedition ( বিদ্রোহ) এর বীজ ছড়াইয়া রাজত্ব্বে উৎপাত সৃষ্টি করিতেছে”
সেই ইংরেজ ভদ্রলোকের ভাষণ আর উৎপাত কবি এতক্ষণ সহ্য করিতেছিলেন। বাঙ্গালীদের দিয়ে ইংরেজ ভদ্রলোকের কথা শেষ হবার সাথে সাথেই কবি জবাব দিলেন “I have the honour to represent the Bengali Race whom you hate most”।
ইংরেজ ভদ্রলোক হঠাৎ হতম্ভব হয়ে গিয়ে আস্তে ধীরে নিজের আসনে ফিরে গেলেন।
তথ্যসূত্রঃ রেলভ্রমণে রবীন্দ্রনাথঃ অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য
খুঁতখুঁতে রবীন্দ্রনাথ-২
ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে (প্রবাদের অর্থ ও উৎস)
স্বর্গ প্রাপ্তি
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে বিনয়াধিকারিকম