১৯১৬ সাল, কবিগুরু ২য় বারের মত আমেরিকা সফর করছেন। সেই ভ্রমনকালে ২৯ অক্টোবর নিউইয়র্ক টাইমস-এ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সাক্ষাতকার ছাপা হয়, সাক্ষাতকারটি নিয়েছিলেন জয়েস কিলমার।
জয়েস কিলমার কবিগুরুকে প্রশ্ন করেছিলেন “প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের আত্মার মধ্যে কোন মৌলিক পার্থক্য আছে কিনা? আর সেটির প্রকাশ কেমন?”
কবিগুরু চিন্তামগ্ন হলেন, কবিগুরুর দেওয়া উত্তরটি সরাসরি কোট করছিঃ
“ আমি মনে করিনা আত্মার প্রশ্নে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে কোন তফাৎ রয়েছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গীতে পার্থক্য রয়েছে, যেমনটি দেখা যায় একটি জাতির ইতিহাসের বিভিন্ন ধাপে। আমরা প্রাচ্যবাসীরা সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব আরোপ করি ঈশ্বরের উপর যে ঈশ্বর সকল অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন।
অন্যদিকে পাশ্চাত্যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পার্থিব বিষয়ের উপর যেখানে ঈশ্বরের উপস্থিতি সম্পূরকের মত, অথবা একেবারেই অনুপস্থিত।
জয়েস কিলমার আরেকটি প্রশ্ন করেছিলেন
“ কবির কাজ কি জনগণকে পরিচালিত করা, নাকি তাদের মনোভাব ব্যাখ্যা করা?”
কবিগুরু বলেছিলেনঃ
“এ দুটির কোনটিই কবির কাজ নয়, বরং কবির কাজ হল সেই সত্যের প্রকাশ ঘটানো যেটি তাঁর নিজের জীবনে পূর্ণরূপে এসেছে”
তথ্যসূত্রঃ রবীন্দ্রনাথ, কম জানা-অজানাঃ সুব্রত কুমার দাস