গুনীজনে কহেন “ভদ্রলোক আর মাকাল ফল প্রায় সেইম কিসিমের” আই মিন, মাকাল ফল যেমন কাজের না, ঠিক তেমনি ভদ্রলোকদের দিয়ে জগতের বা সমাজের কল্যানকর মুভমেন্ট হয়না।
কর্মসূত্রে আমি সেন্ট্রাল ব্যাংকে “সহকারী পরিচালক” পদে অধিষ্ঠিত, সেই সাথে বলিতে হয় আমরা নিতান্তই ভদ্রলোক, আমার অফিসিয়াল গুরুদেব কহেন “বৎস তুমি নিরেট ভদ্রলোক তাই তুমি গু__ মারা খাইবা”
গুরুদেবের বচন শুনিয়া আমি অলটাইম প্রীত হয়, এইবার ও হইলাম। প্রীত হইবার কারন আছে, একটা উদাহরণ দিলে বোধগম্য হইবে–
কর্মসূত্রে আমাকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের সাথে কথোপকথন করিতে হয়। তাদের ভদ্র ভাষায় বিভিন্ন রিপোর্টের ব্যাপারে তাগাদা দিতাম। হার্ড লাইনে যাইবার পক্ষপাতি আমি কখনই ছিলাম না, কারন আমি নিজেও বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঠেলা খাইয়া বাংলাদেশ ব্যাংকে আসিয়াছি।
গুরুদেবের কহিতেন ” বৎস তুমি রেগুলেটর বডি, তুমি যদি আদর করিয়া কথা কও তারা তোমাকে পাইয়া বসিবে” গুরুদেবের কথা মানিয়া নিলেও কার্যক্ষেত্রে তা মানিতাম না।
যাহাই হোক, গুরুদেবের কথাই ফলিল, ব্যাংক সমূহ আমাকে পাইয়া বসিল, আমার ভদ্রতাকে দূর্বলতা ভাবিল।
গুরুদেবের শরণাপন্ন হইলাম — বলিলাম ” হে গুরুদেব, আপনার নির্দেশ অমান্য করিয়া আমি ভদ্রতা দেখাইয়াছি, তাহারা এখন আমাকে মানিতে চাহেনা”
গুরুদেব আমার সমস্যা শ্রবণ করিয়া কহিলেন “বৎস, তুমি এইবার তাদের সাথে কথা না কহিয়া তাহাদের বসকে গু__ মারা আরম্ভ কর, ফল পাইবে”
গুরুদেবের বানী শ্রবন করিয়া আমি সেই অনুযায়ী কার্য করিলাম আর হাতে নাতে ফল পাইলাম।
আমি ভদ্রলোক এখন শিখিতেছি— জয় গুরুদেবের জয়