জেমস অগাস্টাস হিকি, এক ক্ষ্যাপাটে আইরিশ ভদ্রলোক, দেনার দায়ে দুবছর যাবত জেলে বন্দী। জেল থেকে ছাড়া পাবার পরে আবারও জেল।
ব্যারিস্টার উইলিয়াম হিকির কাছে অগাস্টাস চিঠি মারফত কাতর নিবেদন জানালেন। আর এই ব্যারিস্টার উইলিয়াম -এর সহায়তায় অগাস্টাস হিকি বিশ হাজার টাকার এক মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেয়ে গেলেন।
বদমেজাজী অগাস্টাস হিকি জেলে থাকতেই ছাপাখানা সংক্রান্ত কিছু বই পড়েছিলেন, তাই জেলে থাকা অবস্থাতেই সিদ্ধান্ত নিলেন ছাড়া পেলে প্রিন্টার হিসেবে অথবা ঔষধ ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন।
প্রথম প্রথম তিনি হ্যান্ডবিল আর বিজ্ঞাপন ছাপতেন, তার এই হ্যান্ডবিলের বেশ ভালই চলেছিল। এই হ্যান্ডবিল থেকে প্রাপ্ত লাভ থেকে তিনি লাভের টাকা বিনিয়োগ করে ইংল্যান্ড থেকে ছাপাখানার যন্ত্রপাতি অর্ডার দিয়ে আনালেন। তবে এই লাভের টাকার একটি অংশ তিনি ঔষধ কেনার জন্য ব্যয় করলেন।
কারন তিনি ধারণা করেছিলেন, কোন কারনে প্রিন্টিং এর ব্যবসা ধ্বস নামলে ঔষধের ব্যবসা শুরু করবেন। কলকাতা তথা বাংলায় তখন অনেক ইংরেজের বসবাস, অথচ কোন ইংরেজী পত্রিকা নেই। ১৭৮০ সালের ২০ জানুয়ারী, শনিবার, কলকাতা থেকে ছেপে বেরোল জেমস হিকির সাপ্তাহিক সংবাদপত্র, “বেঙ্গল গেজেট” যার দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্ছি আর প্রস্থ আট ইঞ্ছি। দুপাতার এই পত্রিকাটির প্রতিটি পাতায় ছিল
তিনটি করে কলাম যার বেশীর ভাগ-ই ছিল বিজ্ঞাপন আর ফাকফোকরে থাকত কলকাতা আর মফস্বলের চিঠিপত্র। হিকির বেঙ্গল গেজেট ছিল
” সকলের কাছে উন্মুক্ত, কিন্ত কাহারও প্রভাব দ্বারা পরিচালিত নয়”