ছোটবেলা হইতে পিতা মাতার কাছ হইতে “লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে” শুনিয়া শুনিয়া আমার মস্তিষ্ক নামক বস্তুটিতে লেখাপড়া না করিলে যে আমি অর্থ উপার্জন করিতে পারিবনা আর তা না হইলে আমার যে গরীবের হাল হইবে তা ভালোই বুঝিয়াছিলাম।
বিবেক আর মর্যাদাবোধ আমার অল্পবিস্তর জাগ্রত হইয়াছে বাট তাহা অর্থের নিকট কিছুই নয়। গত প্রায় ২৪ বছর যাবত লেখাপড়া করিয়া ৪০ হাজার টাকা সেলারী পাইয়া আমি সন্তুষ্ট হইয়াছি। সামান্য সুযোগ সুবিধা বা অর্থ লাভের জন্য কিভাবে অন্যকে লেং মারিতে হয় তাহা আমার আয়ত্ত্ব হইতাছে। কলিগের নামে উপর মহলে মিথ্যা অভিযোগ জানাইতে শিখিয়াছি, কারণ উপরে উঠিতে হইলে তাহা একান্ত আবশ্যক।পাঁচ মিনিটের কাজ কিভাবে ৩০মিনিটে করিতে হয় তাহা আমার নখদর্পনে—সময়মত কাজ করিলে যে বস আরো কাজ চাপাইবেন। উপরি ইনকামের জন্য স্পীড মানি নিতে আমার বেশ লাগে, যখন স্পীড মানি হাতে আসে, খুব খুশি লাগে, মনে মনে ভাবি
হে পরমপূজনীয় পিতামাতা তোমাদের শিক্ষা আমি প্রোপারলি কাজে লাগাইতে পারিয়াছি। আমার জীবন সার্থক।
— যদি ভুল করিয়া না থাকি তাহলে মেজরিটি বাংগালীরা এমন-ই মনমানসিকতা ধারন ও লালন করেন।
যে জাতি/মানুষ টাকা পয়সার সাথে লেখাপড়ার সম্পর্ক শিশুকে শিক্ষা দেয় সেই জাতির / শিশুর মেরুদন্ড/মর্যাদাবোধ বিকশিত হবার কথা না।
যে জাতি জ্বীন,ভুত, বিড়াল, তেলাপোকার ভয় দেখিয়ে শিশুকে ঘুম পাড়ায়, আর যাহাই হোক সেই জাতি/শিশুর সাহসিকতা বিকাশ লাভ করেনা,অন্যায়ের প্রতিবাদ সে করিতে শিখেনা—