ছেলেটির বয়স কতই বা হবে ৫ কি ৬।সাথে তার ছোট বোন। আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে তার আব্বা আম্মার সাথে। আমি ল্যাপটপে কাজ করছিলাম। সে আর তার ছোট বোন খুব কৌতুহলী চোখে আমার ল্যাপটপটিকে দেখছে। বাচ্চাদের মধ্যে এই কৌতূহল আমার বেশ লাগে। জানার কৌতূহল থেকে জাগে জিজ্ঞাসা, জিজ্ঞাসা থেকে আসে চিন্তা, চিন্তা থেকে বাড়ে জ্ঞান, জ্ঞান থেকে বাড়ে প্রজ্ঞা বা উপলব্ধি।
তার কৌতূহল দেখে আমি কাজ বন্ধ করে তাকে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের ব্যাপারে কিছু বলব ভেবে কাজ গুলো মিনিমাইজ করলাম। হঠাৎ ছেলেটি উচ্চৈঃস্বরে তার বোনকে বললো মূর্তি মূর্তি। আমি অবাক হলাম। মূর্তি কোথায়? দেখি ছেলেটি আমার ল্যাপটপের ব্যাকগ্রাউন্ড স্ক্রিনে মাতা মেরীর ছবির দিকে তাকিয়ে এই কথা গুলো বলছে। মাতা মেরীর অসাধারণ ছবিটা আমি আমার ল্যাপটপটির ব্যাকগ্রাউন্ড স্ক্রিন হিসেবে রেখেছিলাম। আমি অবাক হলাম, কোথায় ছেলেটি ছবিটা কার, ছবিটার সৌন্দর্য নিয়ে তার শিশুসুলভ বিস্ময় প্রকাশ করবে, সে তা করলো না, ছোট বোনটি দেখছিল আমার ল্যাপটপের স্ক্রিনে, সে বুঝতে পারছেনা তার ভাই কি বলছে। ছেলেটি আমাকে অবাক করে দিয়ে তার ছোট বোনকে নিয়ে আমার রুম থেকে বেরিয়ে গেল।